তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর হাতেই অপর গোষ্ঠী আক্রান্ত পুলিশের সামনে , জখম ১০ : ব‍্যাপক উত্তেজনা

15th January 2021 5:02 pm বাঁকুড়া
তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর হাতেই অপর গোষ্ঠী আক্রান্ত পুলিশের সামনে , জখম ১০ : ব‍্যাপক উত্তেজনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  তৃণমূলের বর্তমান প্রধানের স্বামীর হাতে খুন হতে হয়েছিল ওই অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধানের এমনই অভিযোগ উঠেছিল গত পহেলা আগস্ট ২০১৯ সালে আর এর পরেই ঘরছাড়া গ্রামের প্রায় ১০০ জন তৃণমূল কর্মী তাদের পরিবার নিয়ে দীর্ঘ ছয় মাস ঘর ছাড়ার পর অবশেষে আজ বিষ্ণুপুর থানার পুলিশের তত্ত্বাবধানে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হন ঠিক তখনই তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর হাতে পুলিশের সামনেই লাঠিপেটা হয় পিছু হটতে হল , এ ঘটনা বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার বেলিয়াড়া গ্রামের ।

ফের প্রাকাশ্যে এলো তৃনমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ।। গ্রাম ছাড়া তৃনমুলের প্রায় ১০০ কর্মী বাসে করে গ্রামে ঢুকতে গেলে তৃনমুলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন বাধা দেয় এবং পুলিশের সামনে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ঘটনায় প্রায় ১০ জন জখম বলেই জানা গেছে। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বেলিয়াড়া গ্রামে। গ্রামে ঢুকতে না পেরে অপর গোষ্ঠীর কাছে মার খেয়ে বিষ্ণুপুর থানার সামনে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন আহতদের পরিবারগুলি। প্রসঙ্গত গত ১ আগষ্ট বেলিয়াড়া গ্রামে খুন হন স্হানীয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বাবর আলী।এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বর্তমান পঞ্চায়েতের প্রধান তসমিনা খাতুনের স্বামী রহিম মন্ডল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।পরে পুলিশ রহিম মণ্ডল ও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।ঘটনার পর থেকে পঞ্চায়েত প্রধান ও তার পরিবারের সহ ১০০ জনের বেশী গ্রাম ছাড়া। আজ পুলিশের সহযোগিতায় গ্রাম ছাড়া প্রায় ১০০ জন একটি বাসে করে বেলিয়াড়া গ্রামে নিজের নিজের বাড়ী ফেরার চেস্টা করলে। মৃত তৃনমুলের প্রাক্তন প্রধানের গোষ্ঠীর লোকজন গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় ও প্রধান তাসমিনা খাতুন এর পরিবারের লোকজনদের পুলিশের সামনে লাঠি নিয়ে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে গ্রামে ঢুকতে আসা প্রায় ১০ জখম হয় বলে দাবি। পরে পঞ্চায়েতের প্রধান ও তার পরিবারের লোকজন বিষ্ণুপুর থানার দ্বারস্থ হন। থানার এসে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।